নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেরপুরের নকলা উপজেলার তিনজনের বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য যে কোনো দিন অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (২৪ জানুয়ারি) উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে টাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে আসামিপক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার পালোয়ান ও আব্দুস সুবহান তরফদার। প্রসিকিউশন পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। মামলায় মোট আসামি ছিলেন চারজন। এর মধ্যে কারাগারে থাকা তিন আসামি হলেন- আমিনুজ্জামান ফারুক, মোখলেসুর রহমান ওরফের তারা এবং এ কে এম আকরাম হোসেন।
আসামিরা সবাই এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলায় অন্য এক আসামি মারা গেছেন। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামিদের বিরুদ্ধে নকলা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে ছয়জনকে হত্যা, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগসহ বিভিন্ন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে ১৩ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ প্রমাণ করতে পেরেছি। রায়ে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করেন তিনি।
জানা গেছে, নকলার চার রাজাকারের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তদন্ত করে ২০১৭ সালের ২৬ জুলাই প্রতিবেদন দাখিল করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। একই বছরের ৩১ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে ফরমাল চার্জ দাখিল করা হয়।
২০১৮ সালের ৩০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচার চলাকালে একজন আসামি এমদাদুল হক খাজা বয়সজনিত কারণে মারা যান।