![শেষ বলে আলিসেই বিশ্বাস রেখেছিল চিটাগাং](https://www.newspostbd.com/wp-content/uploads/2025/02/17-1.jpg)
ক্রীড়া ডেস্ক :
১৬৪ রানের জবাবে চিটাগাং কিংসকে অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিলেন তিনিই। খাজা নাফের দুর্দান্ত এক ইনিংস চট্টগ্রামকে দেখাচ্ছিল জয়ের পথ। অন্যপ্রান্তে হোসাইন তালাতের শুরুতে ৭০ রানের জুটি গড়েছিলেন। একের পর এক উইকেটের পতন হলেও নাফি ছিলেন অবিচল। যদিও মুশফিক হাসানের বলে পরাস্ত হয়েছিলেন তিনিও। স্বীকৃত সব ব্যাটার আউট হলেও চিগাং কিংস জয় পেয়েছে বোলার আলিসের ৭ বলে ১৭ রানের সুবাদে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে আলিসের প্রসঙ্গেই প্রশ্ন নিতে হলো খাজা নাফেকে। ইনজুরিতে মাঠ ছেড়েও শেষ বল খেলতে মাঠে নেমেছিলেন আলিস। তার ব্যাটে চড়ে শেষ বলেই হলো ৪ রান।
সংবাদ সম্মেলনে এসে অ্যালিসের ওপর শেষ বলে দলের ভরসা ছিল বলেই জানিয়েছেন খাজা নাফে, ‘(শেষ বলের আগে) দলের ভরসা ছিল আলিসের উপর। আগের ম্যাচগুলোতেও সে কিছু না কিছু রান করেছে। ফলে সবার বিশ্বাস ছিল সে ছক্কা মেরে দিতে পারবে। ফলে তার উপর আমরা ভরসা করেছিলাম।’
নাফে দলের অবস্থার জানাতে গিয়ে বলেন, ‘পায়ে ব্যথা পেয়েছিল সে ফলে রান নিতে পারবে না। ফলে শরিফুল (ইসলাম) গিয়ে চার মারলো। শেষদিকে আলিসই ছিল একমাত্র অপশন। আমরা ভেবেছিলাম (রান নিতে না পারলেও) গিয়ে ছক্কা মেরে দিক।’
ফাইনালে প্রতিপক্ষ ফরচুন বরিশাল এ ব্যাপারে নাফে বলেন, ‘ফাইনাল ম্যাচ অনেক চাপের ম্যাচ। দুই দলের উপরেই চাপ থাকবে। কারণ এটা ফাইনাল ম্যাচ। ম্যাচে পরিস্থিতি অনুযায়ী আমরা প্ল্যান নিয়ে চিন্তা করব। এখন একটু বিশ্রাম নিব। ফাইনালের ব্যাপারে ফাইনালে গিয়ে কথা হবে।’মিরপুরের পিচে নিজেদের রানতাড়ার পরিকল্পনাও শোনালেন নাফে, ‘শুরুর দিকে মনে হয়েছে উইকেট কিছুটা চাপে ফেলে দিচ্ছিল ব্যাটারদের। পরে তাদের হেটমায়ার সাথে আরেকজন দারুণ খেলেছে। পরে উইকেট ব্যাটারদের জন্য সহজ হয়ে গেছে। ফলে আমাদের চিন্তা ছিল ভালো উইকেটে ক্রিকেটিং শট খেলতে হবে। হুসাইন ভাইকে এটাই বলেছি, ক্রিকেটিং শট খেলব। সফলও হতে পেরেছি।’