টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শ্বশুরবাড়িতে জাহাঙ্গীর আলম (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গাবতলী গ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়। জাহাঙ্গীর টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। শুক্রবার সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যরা হত্যার অভিযোগ করেন। লাশের সুরতহালে অবশ্য পুলিশ আঘাতের কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি।
জাহাঙ্গীর আলম মির্জাপুর উপজেলার সৈয়দপুর এলাকার আমজাদ হোসেন সিকদারের ছেলে। রাজনীতির পাশাপাশি গোড়াই এলাকায় ইটবালুর ব্যবসা রয়েছে তাঁর। পারিবারিক সূত্র জানায়, মাস চারেক আগে পারিবারিকভাবে জাহাঙ্গীর ফুফাতো বোন কানিজ ফাতেমা সিফাকে বিয়ে করেন। পরে তিনি কালিয়াকৈরের গাবতলী গ্রামে শ্বশুর সালাউদ্দিনের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন।
শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার রাতে ঘুমের মধ্যে মারা যান জাহাঙ্গীর। বিষয়টি টের পেয়ে স্ত্রী সিফা পরিবারের সদস্যদের জানান। জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার সকালে ছুটে আসেন। সেখানে তারা অভিযোগ করেন, জাহাঙ্গীরকে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তাঁর স্ত্রী সিফার পরিবারের সদস্যরা জাহাঙ্গীর আলমের বাবার ওপর চড়াও হন।
জাহাঙ্গীরের ছোট ভাই জুয়েল আহাম্মেদের ভাষ্য, তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে বিয়ের কথা চলার মধ্যেই সিফা অন্য একজনের সঙ্গে পালিয়ে যায়। সিফার পরিবার কয়েক দিন পর সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনে। এসব জানার পরও ফুফাতো বোন হওয়ায় বিয়েতে সম্মত হন জাহাঙ্গীর। জুয়েলের অভিযোগ, বিয়ের পরও সিফা আগের সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ায় ঝগড়া-বিবাদ লেগেই ছিল। সিফাই রাতের কোনো সময়ে তাঁর ভাইকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন।
সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সিফার সঙ্গে কথা বলে। তিনি জানান, রাতে তাঁর স্বামী জাহাঙ্গীর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তখন ওষুধ খাওয়ান তিনি। পরে দু’জনই ঘুমিয়ে যান। ভোরে স্বামীর শরীর ধরে ঠান্ডা অনুভব করেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের ডেকে বিষয়টি জানান।
কালিয়াকৈর থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তারা লাশ উদ্ধার করেন। সুরতহাল তৈরির সময় শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। নিহত যুবকের স্বজনরা হত্যার অভিযোগ করলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানিয়েছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।