শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় সিক্ত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আফছারুল আমিন
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
শ্রদ্ধায় আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন চট্টগ্রাম-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আফছারুল আমিন।
আজ সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন মন্ত্রিপরষদের সদস্যবৃন্দ, সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
পরে ডা. আফছারুল আমিনের মরদেহে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তাদের সামরিক সচিবদ্বয় শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এ সময়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর পক্ষে থেকেও শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এছাড়াও শ্রদ্ধা জানায় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুসহ চীফ হুইপ ও হুইপবৃন্দ। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে আফছারুল আমিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এসময় জাতীয় ও দলীয় পতাকা দিয়ে মরহুমের দেহ ঢেকে দেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের পক্ষ্য থেকে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন ও ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও এ সময়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরো শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ,স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠন।
উল্লেখ্য, ডা. আফছারুল আমীন শুক্রবার (২ জুন) বিকেল ৪টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎিসাধীন আবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। শুক্রবার সকালে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। বিকেলে তিনি মারা যান।
আফছারুল আমীন শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বর্তমান সভাপতি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। চট্টগ্রাম-১০ আসন থেকে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট তিনবার নৌকা প্রতীকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সরকারের নৌপরিবহন ও পরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন।