শ্রীবরদীতে বন্যায় আমন ধান ও মৎস্য খামারে ব্যাপক ক্ষতি

প্রকাশিত: ৩:২২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৬, ২০২৪

শেরপুর প্রতিনিধি:

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় আমন ধান ক্ষেত, শাক-সবজি ও মৎস্য খামারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে নিম্নাঞ্চলের অনেক পরিবার।
রোববার (৬ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই পরিস্থিতি দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গ্রামের ছোট-বড় অসংখ্য পুকুর ডুবে গেছে। ঘর-বাড়িতে পানি উঠায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। পানি উঠে ক্ষতিগ্রস্থ সম্মুখীন পোলট্রি খামারিরা। কিছু এলাকায় পানি নেমে গেলেও অন্য গ্রামগুলোতে নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে। উপজেলার রানীশিমল, সিংগবরুণা, কাকিলাকুড়া, গোশাইপুর, গড়জরিপাসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের অনেক আমন ধান খেত এখনো পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এতে করে কৃষকদের কাছে ফসল উৎপাদন নিয়ে শঙ্কা তৈরী হয়েছে। দ্রুত পানি না নেমে গেলে ফসলের ভয়াবহ ক্ষতি হবে বলে ধারণা তারা।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাবারিনা আফরিন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২ হাজার ২৮৯ হেক্টর জমির আমন ধান ও ৫৬ হেক্টর জমির শাকসবজি সম্পূর্ণ পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। এছাড়াও ২ হাজার ১৯৫ হেক্টর জমির আমন ধান ও ২১৮ হেক্টর জমির সবজি ক্ষেত আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে। দ্রুত পানি নেমে না গেলে ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের কৃষি প্রণোদনার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, উপজেলার প্রায় ছোট-বড় ১২০ জন খামারির ১৪০ মেট্রিক টন মাছ পানিতে ভেসে গেছে। এতে শ্রীবরদীর মৎস্য সেক্টরে প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জাবের আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় বন্য পরিস্থিতির খোঁজখবর রাখছি। ইতিমধ্যেই ৫০০ জনের মধ্যে শুকনো খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন সর্বদা ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছে।