সাংবাদিক নাদিম হত্যা: প্রধান আসামি বাবুর জামিন আপিলেও স্থগিত
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে চেম্বার আদালতের আদেশ বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে বরখাস্ত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছিলেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি সেদিন আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এটি শুনানিতে ওঠে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত জামিন স্থগিত করে আদেশ দেন।
আদালতে ওইদিন রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এ এম) আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলম। আসামি বাবুর পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির।
এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ মাহমুদুল আলম বাবুকে ছয় মাসের জামিন দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আনোয়ারা শাহজাহান জানান, আলোচিত এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুকে ছয় মাসের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
তবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, ১৯ সেপ্টেম্বর এ জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সেটি শুনানি হয়।
সংবাদ প্রকাশের জেরে গত ১৪ জুন রাতে বকশীগঞ্জে বাসায় ফেরার পথে উপজেলার পাটহাটি এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত হন সাংবাদিক নাদিম। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৫ জুন বিকেল ৩টায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ১৮ জুন সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী বাদী হয়ে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাধুরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু, জাকিরুল, রেজাউল, মনিরুলসহ আসামির মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন অন্য আসামি গোলাম কিবরিয়া সুমন। পুলিশ অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও আটজনকে গ্রেফতার করলেও মামলায় তাদের নাম উল্লেখ ছিল না।