সাঈদীর জানাজার দাবিতে বিক্ষোভকালে গ্রেফতার ১৬ জন কারাগারে
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা পড়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেন জামায়াত-শিবির কর্মীরা। একই সঙ্গে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড এবং আওয়ামী লীগ কর্মী ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ওই ১৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার এসআই মো. সুজানুর ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
যাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে তারা হলেন- মো. ইমতিয়াজ চৌধুরী, মো. সজল মোল্লা, মো. সাহাবাজ হোসেন, মনির হোসেন, মো. তারেক হাছান, মো. মনজুর, মো. উজ্জ্বল মিয়া, মো. মতিউর রহমান, মো. আলামিন, মো. আলী, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মহিউদ্দিন, মো. জামিনুর রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, ইউসুফ ফকির ও রহমাতুল্লাহ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ১৫ আগস্ট দুপুর ১টা ২০ মিনিটে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জোহরের নামাজ শেষে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের আÍার মাগফিরাত কামনা করে এর আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
এসময় উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা মসজিদের ভেতরে অতর্কিত আক্রমণ এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। তাদের হামলায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা পালিয়ে গেলে শোক দিবসের অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।
এরপর তারা সেখান থেকে বের হয়ে দুপুর ২টায় বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেটের সামনে হয়ে জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর গায়েবানা জানাজা আয়োজনের দাবিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। একপর্যায়ে আসামিরা রাস্তায় বিক্ষোভ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের শান্ত হওয়ার অনুরোধ করে। কিন্তু আসামিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ও বাঁশের লাঠি নিয়ে হামলা করেন। এসময় পুলিশের এএসআই মো. জুবায়ের আলমসহ কয়েকজন জখম হন। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় পল্টন থানার এসআই মো. সালাহ উদ্দিন কাদের বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।