সাবেক এমপি শম্ভু পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

প্রকাশিত: ৪:২৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাড়ে ৭ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বরগুনা ১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথের নামে পৃথক দুই মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া একই অভিযোগে প্রায় ২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ ও তার স্ত্রী কাপসিয়া তালুকদার, শম্ভুর মেয়ে শুল্কা দেবনাথ, মনীষা মুনমুনের সম্পদের নোটিশ জারি করেছে দুদক।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আসামি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু সরকারের দায়িত্বশীল পদে থেকে অবৈধ উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৪১ লাখ ২০ হাজার ১২৫ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে ১৬টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪১ কোটি ৯৩ লাখ ২৫ হাজার ৭০২ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

 

আরেক মামলায় আসামি হয়েছেন শম্ভু ও তার স্ত্রী মাধবী দেবনাথ। মাধবী দেবনাথের বিরুদ্ধে পারস্পরিক যোগসাজশে স্বামী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভূর ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় জ্ঞাত আয়ের উৎসের সহিত অসঙ্গতিপূর্ণ ২ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৪০৪ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া নিজ নামে ৭টি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনকভাবে মোট ৮ কোটি ৪৫ লাখ ৬১ হাজার ২৭৮ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্যদিকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ছেলে সুনাম দেবনাথ ও তার স্ত্রী কাসপিয়া তালুকদারের সম্পদ বিবরণী তলব করেছে দুদক। ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ক্ষমতার অপব্যবহার করে সুনাম ৯৬ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪৩ টাকা ও কাসপিয়া ৪৯ লাখ ৮৮ হাজার ৪০০ টাকা সম্পদ অর্জন করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়া শম্ভুর দুই মেয়ে শুক্লা দেবনাথের বিরুদ্ধে ৬৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার ও মনীষা মুনমুনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করেছে দুদক।

ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত ২৫ আগস্ট শম্ভুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। তিন দশক ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে ছিলেন শম্ভু। বরগুনা-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। জেলার বিভিন্ন কাজে নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতি আর অপরাজনীতির মাধ্যমে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছে এমন অভিযোগ রয়েছে।