সিলেট সিটিতে নিজেদের অবস্থান পুনরুদ্ধারের পাশাপাশি রাজশাহীতে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখলো আওয়ামী লীগ। সিটি নির্বাচনের শেষ ধাপের ভোটের বেসরকারি ফলে রাজশাহী সিটির মেয়র হয়েছেন নৌকার প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন। এর মধ্যদিয়ে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে সিটির দায়িত্ব লিটনের হাতে তুলে দিলেন রাজশাহীবাসী।
বুধবার (২১ জুন) রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বেসরকারিভাবে এ ফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে লিটন পান ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৯৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুরশিদ আলম ১৩ হাজার ৩৯৩ ভোট পান।
ভোটে জিতে টানা দুবার এবং সব মিলে তিনবার মেয়রের চেয়ারে বসছেন খায়রুজ্জামান লিটন।
এরআগে ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয় পান লিটন। তার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির প্রার্থী বুলবুল। লিটন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। আর বিএনপির মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পান ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ভোট পড়েছিল ৭৮. ৮৬ শতাংশ।
আর ২০০৮ সালে বিএনপির প্রার্থী বুলবুলের ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোটের বিপরীতে খায়রুজ্জামান লিটন ৯৮ হাজার ৩৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।
এবার শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় শুরু থেকেই নির্বাচন ছিল অনেকটাই নিরুত্তাপ। মেয়র পদে প্রার্থী ছিলেন চার জন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)।
তবে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছেন। খুলনা ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী আন্দোলন ভোট বর্জন করায় অনেকটা নির্ভার ছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী খায়রুজ্জামান লিটন।
নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার শঙ্কা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ভালোই ভোট পড়েছে। উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ৫২ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে লড়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ছয়জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলে। ভোটকক্ষ ছিল ১১৫৩টি। ১৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।