‘আইনি ও সাংবিধানিক কারণে’ উপ-নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সিলেট-৩ আসনে ভোট হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে।
শনিবার সিলেট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আইনি ও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে সিলেট-৩ আসনের উপ-নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই।”
গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ সামাদ চৌধুরী মারা যান। আসনটি শূন্য ঘোষণা করে ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, “উপ-নির্বাচনের সকল কার্যক্রম লকডাউন বহির্ভূত থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে থাকবে প্রশাসন। ভোট হবে ইভিএমে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোট গ্রহণের জন্য সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।”
মহামারী পরিস্থিতিতে সবাইকে মাস্ক ব্যবহার ও নিরাপদ দূরত্ব মেনে ভোটকেন্দ্রে আসার আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহমদ, মহানগর পুলিশ কমিশনার নিশারুল আরিফ, সিলেটের ডিসি কাজী এমদাদুল ইসলাম সভায় ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, “সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করতে সবকিছুই করছে কমিশন। এতে কারও কোনো সংশয়ের অবকাশ নেই।”
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। আসনটিতে ভোটার রয়েছেন তিন লাখ ৩০ হাজার। আগামী ২৮ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে বিরতিহীন ভোট নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্থানীয় নির্বাচন কমিশন দপ্তর।
আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান, জাতীয় পার্টির মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, বাংলাদেশ কংগ্রেসের জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শফি আহমেদ চৌধুরী ভোটের লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।