সিলেটে ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে চুরি হওয়া ১৮ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেফতার আরও ২

প্রকাশিত: ৯:২৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৩

সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেটে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির ঘটনায় আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত চুরি হওয়া ১৮ লাখ ৬ হাজার টাকা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার নৈখাই পূর্বপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে আমিনুল হক (২৫) ও একই এলাকার মাঝপাড়া গ্রামের সিদ্দেক আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম মুন্না (২৬)। আজ রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে নিউজ পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মঈন উদ্দিন।
তিনি বলেন, গেল শুক্রবার নগরীর শিবগঞ্জ থেকে জকিগঞ্জ উপজেলার হাতিডহর গ্রামের হোসাইন আহমদের ছেলে আলবাব হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে মুন্না ছাড়া অন্য দুজন সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তা।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মঈন উদ্দিন বলেন, গতকাল শনিবার (৪ নভেম্বর) রাতে ঢাকা ও ভৈরবে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এখন আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতারদের বাসা থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে আলবাবের কাছ থেকে ১০ লাখ, মুন্নার কাছ থেকে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ও আমিনুলের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার মধ্যে ছয় লাখ ৭৮ হাজার টাকা আসামিরা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছেন। আর এক লাখ ৪৮ হাজার টাকা তারা খরচ করেছেন।
২৮ অক্টোবর রাতে সুবিদ বাজারের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথে চুরির ঘটনা ঘটে। বুথ ভেঙে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা লুট করেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানির লোকজন। ৩০ অক্টোবর বুথে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকার হিসেবে গরমিল পাওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সিসিটিভির ফুটেজ চেক করে।
ভিডিওতে দেখা যায়, গত ২৮ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৬ মিনিটে মাথায় ক্যাপ, মুখে মাস্ক ও চোখে কালো চশমা পরা দুই যুবক বুথে প্রবেশ করেন। তাদের হাতে গøাভস পরা ছিল। একজন বুথের নিচের দিকের অংশ খোলেন ও অপরজন পেছনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় এক নিরাপত্তা প্রহরীকে বুথের সামনে দেখা যায়।
ডাচ-বাংলার এটিএম বুথ থেকে ২৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে ঘটনার কয়েকদিন পর গত শুক্রবার এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন সিকিউরেক্স প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড সিলেটের ইনচার্জ সন্দীপন দাস। মামলায় কোম্পানির এটিএম অফিসার আলবাব হোসেন ও কর্মকর্তা আমিনুল হককে আসামি করা হয়।