সিসামুক্ত দেশ গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার

প্রকাশিত: ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অন্তর্র্বতী সরকার সবার জন্য একটি সিসামুক্ত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে এবং সিসা রোধ করতে সব অংশীজনকে সহযোগিতায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০২৪ সালের মধ্যে সিসামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে সরকার কাজ করছে।

গতকাল বুধবার রাজধানীর বিআইসিসিতে আয়োজিত ‘সিসামুক্ত বাংলাদেশ: আমরা কীভাবে পৌঁছাব’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রার সিসা আছে, যা ক্রমান্বয়ে এই জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়াচ্ছে। তাই অন্তর্র্বতী সরকার সিসামুক্ত বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশল তৈরি করবে।

আন্তর্জাতিক সিসা দূষণ প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফের উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিল ভারী ধাতু দূষণের স্বাস্থ্যগত প্রভাব, বিশেষ করে শিশুদের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং এই সংকট মোকাবিলায় সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের একত্রিত করা।
কর্মশালায় উপস্থাপিত বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, বাংলাদেশের শিশুদের রক্তে উদ্বেগজনক মাত্রায় সিসা রয়েছে এবং এর ঝুঁকি বায়ু, পানি, মাটি, খাদ্য এবং রং ও রান্নার পাত্রের মতো ভোক্তা সামগ্রী থেকে হতে পারে। দ্রুত নগরায়ণ ও শিল্পায়নের ফলে ভারী ধাতুর দূষণ বেড়েছে, যা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বক্তব্য দেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন, ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স, ইউএসএআইডির মিশন পরিচালক রিড আইশ্লিম্যান, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম।