সেভ দ্য রোডের প্রতিবেদন: সড়ক সংস্কারের অভাবে বাড়ছে দুর্ঘটনা

প্রকাশিত: ৮:২৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৩

সাজ্জাদ হোসেন:
দেশে সড়ক সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়ছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা প্রেরিত বিশেষ প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়- পৃথক বাইক লেন না থাকায় ৬৬টি জাতীয় মহাসড়ক এবং ১২১টি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ দেশের প্রায় ১৭টি গুরুত্বপূর্ণ সেতুতে দুর্ঘটনার পাশাপাশি আহত এবং নিহতর সংখ্যা বাড়ছে। দেশের ২২টি জাতীয় দৈনিক, ৩৪টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ২৪টি টিভি-চ্যানেল এবং সারাদেশে সেভ দ্য রোড-এর তথ্যানুসারে এ প্রতিবেদন উঠে এসেছে। আজ শনিবার (২১ অক্টোবর) গণমাধম্যে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সড়ক দুর্ঘটনাসহ বিভিন্ন গবেষণা নিয়ে কাজ করা সেভ দ্য রোড।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান জেড এম কামরুল আনাম, প্রতিষ্ঠাতা ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, আইয়ুব রানা, জিয়াউর রহমান জিয়ার তত্বাবধায়নে গবেষণা সেল আরও জানায়, জাতীয় মহাসড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্য-৩৯০৬.০৩ কিলোমিটার, আঞ্চলিক মহাসড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্য- ৪৪৮২.৫৪০ কিলোমিটার, জেলা সড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্য- ১৩২০৬.৯২৩ কিলোমিটার এবং উপজেলা পর্যায়ের সড়কের সর্বমোট দৈর্ঘ্য ১০০০৮.০৫০। মোট ৩১৬০৩.৫৪ কিলোমিটারের ১৭২২২.২৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের অভাবে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা বাড়ছে।
খোদ রাজধানী ঢাকায় সংস্কারের অভাবে ৮২টি সড়কে মানুষ অহরহ দুর্ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। বিশেষ করে মালিবাগ-রাজারবাগ, হাতিরঝিলের মধুবাগ অংশ, বনশ্রী-রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার, বাসাবো-নন্দীপাড়া, এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান, বিরুলিয়া-বাগ্মীবাড়ি, মিরপুর মাজার-গুদারাঘাট, কামরাঙ্গীরচর-সেকশন, হাজারীবাগ-নিউমার্কেট, বউবাজার-রামপুরা, কাকলী-মিরপুর, সেগুনবাগিচা-প্রেসক্লাব, মীরবাগ-মালিবাগ, রাজারবাগ-বৌদ্ধ মন্দির, শান্তিবাগ-শান্তিনগর, শেখের জায়গা-মানিকনগর, লোহারপুল-যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর-পোস্তগোলা, কারওয়ানবাজার-ট্রাকস্ট্যান্ড, ধোলাইখাল, সোওয়ারীঘাট, চকবাজার, লালবাগ, আজিমপুর, নবাবপুর, বংশাল, খিলগাঁও, কাজলার পাড়, বাড্ডা, ভাটারা, খিলক্ষেত, মান্ডায় সড়কগুলো সংস্কার ও দখলমুক্ত না করার কারণে রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনার ৪২% ভাগেরও বেশি ঘটছে।
এমতবস্থায় সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে সুপারিশ করছে সেভ দ্য রোড- ১. সকল সড়ককে সংস্কার করতে হবে ২. দখলমুক্ত করতে হবে ৩. সড়ক-মহাসড়কে পৃথক বাইক লেন বাস্তবায়ন করতে হবে ৪. সড়ক না থাকা স্বত্বেও নির্মিত সেতুগুলো তদন্ত করে অনতিবিলম্বে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে বাস্তবায়ন করা হোক। ৫. দুর্ঘটনামুক্ত পথের জন্য ৩-৫ কিলোমিটার অন্তর পুলিশ বুথ ও সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হোক।