স্বাস্থ্যবিমা কি স্বাস্থ্য খাতের দুর্দশা কমাতে পারবে?
নিউজ পোস্ট বিডি নিউজ পোস্ট বিডি
নিউজ পোস্ট বিডি

সাজ্জাদ হোসেন :
স্বাস্থ্যবিমা একটি আর্থিক ব্যবস্থা যা মানুষের চিকিৎসা ব্যয়ের আর্থিক ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে। এই ব্যবস্থায় মানুষ একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রিমিয়াম দিয়ে থাকে এবং বিনিময়ে চিকিৎসা ব্যয়ের খরচ বিমা কোম্পানি বহন করে থাকে। অর্থাৎ বিমা কোম্পানি প্রিমিয়ামের বিনিময়ে ঝুঁকি গ্রহণ করে। এর ফলে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আর্থিক বাধা দূর হয় এবং সেবা নিতে গিয়ে নিজ খরচে স্বাস্থ্য ব্যয় কমে যায়।
মূলত এই ব্যবস্থায় বড় ও বিপর্যয়মূলক স্বাস্থ্য ব্যয় যার ফলে অনেকে দরিদ্রতার মধ্যে নিমজ্জিত হয় সেটা ব্যাপক মাত্রায় কমে আসে। বিশ্বের অনেক দেশ স্বাস্থ্যবিমা কাভারেজ বাড়িয়ে তাদের স্বাস্থ্য খাতের দুর্দশা কমাতে পারলেও বাংলাদেশ এখনো প্রস্তুত কিনা বা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী করা যায় সে আলোচনা চালু রাখা দরকার।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার কিছু মূল সমস্যা যেমন স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে উচ্চ ব্যক্তিগত ব্যয় (আউট অব পকেট এক্সপেন্ডিচার), মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবার সুযোগ নিশ্চিত করতে না পারা এবং বিপর্যয়মূলক চিকিৎসা ব্যয়ের ফলে আর্থিক দুর্বলতা নিরসনে স্বাস্থ্যবিমা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তবে শুধু বিমার আওতায় আসলে সমস্যার সমাধান হবে না। এর কার্যকারিতা নির্ভর করে ভোক্তাদের আস্থা, সাশ্রয়ী মূল্যে বিমার প্রাপ্যতা, নিয়ন্ত্রক সংস্থার দক্ষতা ও সততা এবং স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর ওপর।
বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে স্বাস্থ্যবিমা মোটাদাগে দুই রকম হতে পারে। এক, বাধ্যতামূলক যা অনেক দেশের সোশ্যাল হেলথ ইনস্যুরেন্স নামে পরিচিত। আরেকটা হলো ঐচ্ছিক স্বাস্থ্য অর্থাৎ সরকার কাউকে বাধ্য করবে না। সোশ্যাল হেলথ ইনস্যুরেন্স এই ব্যবস্থায় প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যবিমায় অংশগ্রহণ করা বাধ্যমূলক এবং প্রিমিয়াম নির্ধারিত হয় ভোক্তার সামর্থ্য অনুযায়ী।
তবে সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য প্রিমিয়াম দিয়ে থাকে। এর ব্যবস্থার মূল সমস্যা হলো যেসব দেশের ফর্মাল সেক্টর দুর্বল সেখানে যেহেতু প্রকৃত আয় জানার সুযোগ কম তাই সরকারের ওপর অনেক চাপ পড়ে যায়। তাছাড়া বাংলাদেশের মতো স্বল্পোন্নত দেশে যেহেতু দরিদ্র লোকের সংখ্যা অনেক বেশি তাই এ ব্যবস্থার যাওয়া বেশ কঠিন হবে।বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতার আলোকে স্বাস্থ্যবিমা মোটাদাগে দুই রকম হতে পারে। এক, বাধ্যতামূলক যা অনেক দেশের সোশ্যাল হেলথ ইনস্যুরেন্স নামে পরিচিত। আরেকটা হলো ঐচ্ছিক স্বাস্থ্য অর্থাৎ সরকার কাউকে বাধ্য করবে না।
এই ব্যবস্থায় গিয়ে দেশের মানুষের সেবা অনেক উন্নত করার উদাহরণ কেবল উন্নত দেশেই দেখা যায়। কিছুর স্বল্পোন্নত দেশে এই ব্যবস্থায় গেলেও উল্লেখিত সমস্যার কারণে খুব বেশি এগোতে পারেনি। প্রিমিয়াম কালেকশন, ক্লেইম ব্যবস্থাপনা, সার্ভিস প্রদান প্রতি ক্ষেত্রেই ক্যাপাসিটি ব্যাপকভাবে বাড়াতে হবে। আমাদের সরকার সেটার জন্য মোটেই প্রস্তুত না।
অন্যদিকে ঐচ্ছিক ব্যবস্থায় মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা কঠিন। এক্ষেত্রে গোষ্ঠী স্বাস্থ্যবিমা একটা সমাধান হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়, কিছু কর্পোরেট হাউজ এই ব্যবস্থার আওতায় আছে। মাঝখানে সরকারি কর্মচারীদেরও এই আওতায় আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু এই ব্যবস্থার সবচেয়ে দুর্বলতা হলো যারা অপেক্ষাকৃত ধনী শ্রেণি যাদের হয়তো প্রটেকশন কম, তারাই বেশি এই সুবিধা পাবে। কিছুটা তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মতো।
অনেকে মনে করে থাকে যদি পলিসি মেকাররা এর আওতায় আসবে এবং এর ফলে তারা এই উপকারিতা বুঝবে এবং এই পলিসি সবার জন্য করতে উদ্বুদ্ধ হবে। কিন্তু এই যুক্তির সমস্যা হলো তারা এমনিতেই সুবিধাভোগী, তাই সামান্য উন্নতি হয়তো চোখে নাও পড়তে পারে। আর এর ফলে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তবে এই ধরনের গোষ্ঠী বিমার পাশাপাশি যদি সরকার দরিদ্রদের সাথে যোগ করে তাহলে এর সুফল পাওয়া যেতে পারে।
বাংলাদেশে ৭০ শতাংশের বেশি স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় নিজ পকেট থেকে দিতে হয়, যা অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়। কার্যকর স্বাস্থ্যবিমা ব্যবস্থা এই বোঝা কমাতে পারে। তাছাড়া অর্থ সংস্থান নিয়ে শঙ্কা বা অনিশ্চয়তা কম থাকায় আর্থিক সুরক্ষা প্রদান করলে মানুষ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণে আরও উৎসাহিত হবে।
একইভাবে যদি বিমা পলিসির সাথে প্রতিরোধমূলক সেবা অন্তর্ভুক্ত থাকে তবে দীর্ঘমেয়াদে চিকিৎসা ব্যয় হ্রাস এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে পারে। স্বাস্থ্যবিমা আর্থিক সংকট থেকে রক্ষা করে পরিবারের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে পারে।
স্বাস্থ্যবিমার সম্ভাব্য সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশে একে জনপ্রিয় করা যায়নি। যদিও কিছু কিছু গোষ্ঠী স্বাস্থ্যবিমার উদাহরণ আছে দেশে তবে সেটা অনেক বেশি নয়। এমনকি অনেক নিম্ন আয়ের দেশের চেয়েও সেটা অনেক কম। যার পেছনে কিছু প্রধান বাধা রয়েছে—অনেকেই স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়কে অনিয়মিত এবং জরুরি পরিস্থিতি হিসেবে দেখেন এবং তাই স্বাস্থ্য বিমাকে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় হিসেবে বিবেচনা করেন। তাছাড়া অতীতের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা যা অনেক ক্ষেত্রে সুখকর ছিল না এবং সেবার মানের অভাবের কারণে বিমা সংস্থার প্রতি আস্থা কম।
তাছাড়া বাংলাদেশের অনেক মানুষ নিম্ন আয়ের, ফলে স্বাস্থ্যবিমার জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখা সম্ভব হয় না। বিমা খাতের অনিয়ম এবং দুর্বল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও গ্রাহকদের অনাস্থা তৈরির জন্য দায়ী। বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ ছাড়া সাধারণত উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরাই বিমায় যোগ দেন (এডভার্স সিলেকশন হয়), যার ফলে বিমা কোম্পানি টিকে থাকতে কঠিন হবে। স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামোর অভাব থাকলে বিমা থাকলেও মানসম্মত চিকিৎসা সেবা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে বিমা থাকার আলাদা কোনো সুবিধা দেয় না।
বাংলাদেশে স্বাস্থ্য বিমাকে কার্যকর করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা উচিত:
বাংলাদেশে ক্যান্সার, কিডনি রোগ এবং হৃদরোগের মতো যেসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি সেসব রোগের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বিমা কর্মসূচি চালু করা যেতে পারে। কারণ এসব রোগের চিকিৎসা ব্যয় অনেক বেশি, যার ব্যয় বহন করা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জন্য অসম্ভব হয়ে পড়ে।
এছাড়া সাথে সাথে কম্বোডিয়ার মডেলে একটি স্বাস্থ্য সমতা তহবিল (ঐঊঋ) গঠন করা যেতে পারে, যা দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য বিমা প্রিমিয়াম ও চিকিৎসা ব্যয় কভার করবে। এই ব্যবস্থা দরিদ্রদের জন্য চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে।
এবার অর্থায়নের ব্যবস্থা নিয়েও ভাবতে হবে। তাই স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচিকে টেকসই করতে এবং কাভারেজ সম্প্রসারণ করতে তামাক, অ্যালকোহল এবং চিনি সমৃদ্ধ পানীয়ের ওপর উচ্চ কর আরোপ করা যেতে পারে। বিশেষত তামাক কর বৃদ্ধি ধূমপানজনিত রোগ প্রতিরোধ এবং রাজস্ব সংগ্রহের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিমা তহবিল গঠনে সহায়ক হতে পারে। সরকার ইতিমধ্যেই এক শতাংশ হেলথ ডেভেলপমেন্ট সারচার্জ নামে একটা করারোপ করে, যা এখনো ঠিকভাবে ব্যয় হচ্ছে না। সেই টাকা দিয়ে সরকার দরিদ্র মানুষের জন্য স্বাস্থ্যবিমা কিনতে পারে।
ইনস্যুরেন্স থিউরি অনুযায়ী, স্বাস্থ্যবিমাকে কার্যকর এবং জনপ্রিয় করতে হলে বিমা তত্ত্ব অনুযায়ী তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করতে হবে:
এক, বিমাগ্রহীতার মনে হতে হবে যে স্বাস্থ্যবিমা থাকার ফলে তারা অর্থনৈতিকভাবে বেশি সুরক্ষিত এবং স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধা পাবে, যা বিমাহীন থাকার চেয়ে ভালো।
অর্থাৎ, মানুষকে বিশ্বাস করতে হবে যে বিমার মাধ্যমে তাদের চিকিৎসার খরচ কমবে এবং তারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা সহজে পাবে। যদি মানুষ মনে করে যে বিমা তাদের প্রত্যাশিত সুবিধা দিচ্ছে না, তবে তারা ব্যক্তিগত খরচ, পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তা বা সরকারি স্বাস্থ্যসেবার ওপর নির্ভর করতে বেশি আগ্রহী হবে।
বিমার প্যাকেজটি অর্থনৈতিকভাবে উভয় পক্ষের জন্য কার্যকর হতে হবে—বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি টেকসই হতে হবে এবং বিমাগ্রহীতাদের জন্য এটি সাশ্রয়ী হতে হবে।
দুই, বিমার প্যাকেজটি অর্থনৈতিকভাবে উভয় পক্ষের জন্য কার্যকর হতে হবে—বিমাকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য এটি টেকসই হতে হবে এবং বিমাগ্রহীতাদের জন্য এটি সাশ্রয়ী হতে হবে। বিমাকারী প্রতিষ্ঠানকে অবশ্যই প্রিমিয়ামের মাধ্যমে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে হবে, যাতে তারা দাবি পরিশোধ করে ব্যবসা চালিয়ে যেতে পারে। একইসাথে, বিমাগ্রহীতাদের মনে হতে হবে যে তারা যে পরিমাণ প্রিমিয়াম দিচ্ছে, তার তুলনায় তারা পর্যাপ্ত সুবিধা পাচ্ছে। যদি মানুষ মনে করে যে তারা যা দিচ্ছে, তার চেয়ে কম সুবিধা পাচ্ছে, তাহলে তারা বিমা গ্রহণে আগ্রহী হবে না।
তিন, মানুষকে অবশ্যই ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং নিজেদের ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ঝুঁকি সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে। তবে বাস্তবে দেখা যায়, বাংলাদেশসহ অনেক উন্নয়নশীল দেশে মানুষ সাধারণত তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কম মনে করে থাকে। তারা মনে করে তাদের অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম যা বাস্তবিক নয়। ফলে, তারা আগেভাগে বিমা নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। কিন্তু বাংলাদেশে এই তিনটি শর্ত একসাথে পূরণ হয় না, যার ফলে স্বাস্থ্যবিমা এখনো জনপ্রিয় হয়ে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকদের উচিত জনগণের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিমা প্রক্রিয়াকে সহজ ও স্বচ্ছ করা, এবং সাশ্রয়ী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যবিমা ব্যবস্থা চালু করা।
স্বাস্থ্যবিমা বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের অনেক সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে পারে, তবে এটি একমাত্র সমাধান নয়। এর ফলে মোরাল হ্যাজার্ড (নৈতিক বিপদ) যার মানে হলো বিমা আওতায় থাকলে অপ্রয়োজনীয় সেবা নিতে উৎসাহিত করতে পারে। ফলে স্বাস্থ্য ব্যয় বেড়ে যেতে পারে। এরকম অবস্থায় কোরিয়া এবং যেসব দেশ এই ব্যবস্থা চালু করেছিল তাদের একই অভিজ্ঞতা হয়েছে।
এছাড়া কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে আরও কিছু শর্তগুলো পূরণ করা জরুরি। যেমন, জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিমার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, বিমা কোম্পানিগুলো এমন পলিসি নিয়ে হাজির হতে হবে যে যা হবে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিষেবা দিতে পারে এবং একই সাথে আর্থিকভাবে টিকে থাকতে পারে।
তবে এটা মাথায় রাখতে হবে যে, শুধু বিমা থাকলেই হবে না, তার জন্য শক্তিশালী স্বাস্থ্যসেবা অবকাঠামো নিশ্চিত করা অপরিহার্য। কোরিয়াতে সর্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করার আগে সারা দেশে গুনগত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করেছিল। এর ব্যবস্থা যাতে কোনো অনৈতিক সুবিধা নিতে না পারে, সেজন্য নিয়ন্ত্রণ সংস্থাসহ অন্যান্য সেক্টরের ক্যাপাসিটিও বাড়াতে হবে। অন্যথায় স্বাস্থ্যবিমার প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়বে এবং এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদে পড়বে।
মোদ্দাকথা বর্তমান কাঠামোতে, স্বাস্থ্যবিমা এককভাবে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। তবে, এটি যদি বৃহত্তর স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের সঙ্গে সমন্বিতভাবে পরিচালিত হয়, তাহলে এটি একটি কার্যকর এবং টেকসই সমাধান হিসেবে কাজ করতে পারে।