সৎ মেয়েকে ধর্ষণের মামলায় লতা হারবালের চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রকাশিত: ৭:১৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৬, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সৎ মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে লতা হারবালের মালিক আইয়ূব আলী ফাহিমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) আসামিকে আদালতে হাজির করে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন ধানমন্ডি থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) খোকন মিয়া। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশিদ জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় আইয়ূব আলী ফাহিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মামলার বাদী অর্থাৎ ভুক্তভোগী নারী সম্পর্কে আসামি আইয়ূব আলী ফাহিমের সৎ মেয়ে। বাদীর বয়স যখন আট বছর তখন তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। পরে বাদীর মায়ের সঙ্গে ফাহিমের বিয়ে হয়। ২০১৪ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাদীর মা আমেরিকা চলে যান। বাদীর বাংলাদেশে বিয়ে হয়। তবে তারও বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। বাদীর এক পুত্রসন্তান রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ৩০ মার্চ রাতে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এবং ভুক্তভোগীর শিশুসন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন আইয়ূব আলী। এরপর প্রায় ৫ মাস ধরে নানা সময় একইভাবে সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ধানমন্ডি থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী।


মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণা করে রাখেন ফাহিম। ধর্ষণ নিয়ে মুখ খুললে ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখান। এরপর তিনি সুযোগ বুঝে ফাহিমের বাসা থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে মায়ের কাছে চলে যান।
পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব না পাওয়া পর্যন্ত সেদেশে অপেক্ষা করেন। নাগরিকত্ব পাওয়ার পর দেশে রেখে যাওয়া শিশুপুত্রকে উদ্ধার করতে গত ৩০ নভেম্বর দেশে ফেরেন বাদী। দেশে ফেরার ৫ দিনের মাথায় গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডি থানায় ফাহিমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন তিনি।