সৎ হলে ইউনূসের মামলা মোকাবিলা করা উচিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৮:৪৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, সৎ ও সাহসী হলে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা মোকাবিলা করা উচিত। আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন তিনি। জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এর দুদিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর শুরু হবে অধিবেশন। প্রধানমন্ত্রীর নিউইয়র্ক সফর উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন, তারা চাইলে বাংলাদেশে এসে আমাদের যে বিচার চলছে, তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ আগ্রহ দেখিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে আব্দুল মোমেন বলেন, খুবই দুঃখজনক যে ইউনূস আমাদের একজন সম্মানিত নাগরিক। তার বিরুদ্ধে সরকার কোনো মামলা করেনি। তার প্রতিষ্ঠান যাদের ঠকিয়েছে, তারাই শ্রম আইনে মামলা করেছেন।
আইনের শাসন মানতে হলে সরকারের কোনো ক্ষমতা নেই মামলা বন্ধ করার। তিনি অপরাধ না করলে তো ভয়ের কোনো কারণ নেই। বিচার তার পক্ষেই যেতে পারে। তার অপরাধবোধ থাকার কারণটা খুবই দুঃখজনক। দামি লোক তিনি, ভয়ে আতঙ্কিত। তিনি সৎ ও সাহসী হয়ে থাকলে মামলা মোকাবিলা করা উচিত। মামলায় যা হবে, সেটা তিনি মেনে নেবেন। এ দেশের নাগরিক হলে এ দেশের আইন-কানুনও মানতে হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ড. ইউনূস একটি ফার্মকে নিয়োগ করেছেন, তার পক্ষে সই নিয়ে আসতে। আমরা আশা করি, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তারা চাইলে এসে মামলাটি লড়তে পারেন। যুক্তি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিচার হবে। কাজেই এ নিয়ে ভয় পাওয়ার তো কারণ নেই। নিজে দোষী হলে একটু ভয় পাবেনই।
যুদ্ধ বন্ধের (রাশিয়া-ইউক্রেন) কথা প্রধানমন্ত্রী বারবার বলেন। এবার তিনি জাতিসংঘের বক্তব্যে সেই আহŸান জানাবেন কি না। পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ ও অভিবাসন নিয়ে তিনি কোনো কথা বলবেন কি না, প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, অভিবাসনে আমরা সভাপতি। আমরা চাই, বিশ্বে নিয়ন্ত্রিত ও সুশৃঙ্খল অভিবাসন চাই। আমরা কোনো অবৈধ অভিবাসন চাই না। অভিবাসীরা স্থানীয়দের কর্মসংস্থান কেড়ে নেন না, তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন।
যুক্তরাষ্ট্র দেশটি পুরোটিই অভিবাসীদের দেশ। বিশ্বের সব দেশের লোকজন গিয়ে ওই দেশটিকে উন্নত করেছেন। অভিবাসীরা খুবই উদ্ভাবনী ও সৃষ্টিশীল হন। তারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেন। আমরা সবসময় এ বাণী দিয়ে এসেছি।
তিনি বলেন, আমরা শিগগির বিশ্বের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ বাজার হবো। সেই কথাগুলো আমরা বলতে চাই বিশ্বকে। তারপর কে গ্রহণ করবে, না করবে, এটা তাদের বিষয়। বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় পণ্ডিতরা একবাক্যে বলেন, বাংলাদেশ ইজ রাইজিং স্টার, ইজ অ্যা রাইজিং টাইগার।