শরীয়তপুর প্রতিনিধি:
শরীয়তপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা মামলার আসামি দাউদ খানকে (৪৫) রাতের আঁধারে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ওই মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন পশ্চিম নাওডোবা এলাকার মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দাউদ খান মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে। আটক মোজাম্মেল মাদবর (৪০) একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাদবরের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেছের মুন্সি কান্দি গ্রামের দাউদ খান ও মোজাম্মেল মাদবর গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম মাদবরকে হত্যা করা হয়। ওই হত্যা মামলার আসামি ছিলেন দাউদ খান।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কে বা কারা দাউদ খানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে তার ঘরের সামনে ফেলে রেখে যায়। সকালে তার বসতবাড়ির দরজার সামনে মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে দাউদ খানের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। রাতে দাউদ খান একাই বাড়িতে ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা এমন জঘন্যতম ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা কিছুই জানতে পারিনি। সকালে খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরিফুল আলম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি পূর্ব শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দাউদ খানের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের স্বজনরা মোজাম্মেল মাদবর নামে একজনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেছে। দাউদ খান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।