‘হাইব্রিডদের’ চাপে কোণঠাসা বিএনপির তৃণমূলের ত্যাগীরা

প্রকাশিত: ১১:৫৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বদলে যাচ্ছে বিএনপির মাঠের চিত্র। আর্বিভাব ঘটছে হাইব্রিডদের। আন্দোলনের মাঠে ছিলেন না, মামলা-হামলা কিংবা নির্যাতনের মুখেও ছিলেন না, ঘরছাড়াও হতে হয়নি। বিগত দিনে ব্যবসা-বাণিজ্য করেছেন, তাল মিলিয়ে চলেছেন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে। তারাই এখন বিএনপির দাপুটে ‘হর্তাকর্তা’। তাদের সঙ্গে যোগ হয়েছেন নব্য বিএনপি নামধারী অনেকে। যারা কখনোই বিএনপিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না, তারাই এখন নানা জায়গায় দখল পর্বে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আবার তারাই এখন তৃণমূলের ত্যাগীদের ওপর ছড়ি ঘোরাচ্ছেন।

দলীয় কার্যালয় ছাড়াও বিভিন্ন সড়কের অলিগলিতে এখন তাদের ব্যানার, পোস্টার শোভা পাচ্ছে। বিভিন্ন নেতার বাসাবাড়ি কিংবা অফিসে এসব নেতার পদচারণাও বাড়ছে। ভিড় করছেন বিভিন্ন লবিং-তদবির নিয়ে। অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে যেসব নেতাকর্মী রাজপথে ছিলেন, মামলা-হামলায় সর্বস্বান্ত হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, ঘরছাড়া হয়েছেন, তারা এখন ‘অসহায়’। হাইব্রিড নেতাদের চাপে তাদের অনেকেই এখন দলীয় কার্যালয়, নেতাদের বাসাবাড়ি এড়িয়ে চলছেন। অহেতুক মিথ্যা অভিযোগে বহিষ্কার আতঙ্ক নিয়ে নিজেদের গুটিয়ে নিয়েছেন অনেকে।
এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান সমকালকে বলেন, বিএনপির নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করা ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। ওই দলটির নেতাকর্মীরা এখন খোলস পরিবর্তন করে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীকে সতর্ক করা হয়েছে।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, ওয়ান-ইলেভেন থেকে শুরু করে আওয়ামী সরকারের আমলে সীমাহীন নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দলের নেতাকর্মীরা রাজপথে থেকেছেন। অনেকে গুম হয়েছেন, অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। দলের এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। অনেকের বিরুদ্ধে মামলার তিন সেঞ্চুরিও পার হয়েছে বিগত দিনে। এসব মামলায় সর্বস্বান্ত হতে হয়েছে তাদের। অনেকের সহায়-সম্পদ দখল করা হয়েছে, অনেককে ঘরবাড়ি ছাড়া হতে হয়েছে। তবে যেসব নেতাকর্মী আওয়ামী লীগের সঙ্গে আঁতাত করেছেন, তারা ছিলেন বহাল তবিয়তে। ওই সময়ে তারা নিজেদের মতো করে ব্যবসা করেছেন, নিরাপদে থেকেছেন। কোনো নির্যাতন তাদের স্পর্শ করতে পারেনি। তারা সব সময়ই বিভিন্ন লবিং-তদবিরে পদ বাগিয়েছেন। আর এখন দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তারাই দলের সামনের সারিতে চলে এসেছেন। এটা শুধু বিএনপির নেতাকর্মীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দল-সমর্থিত বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের মধ্যেও বিস্তার করেছে। সাংবাদিক, চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, উকিল, শিক্ষক থেকে শুরু করে অন্যান্য পেশার মধ্যেও দৌরাত্ম্য বেড়েছে বিগত দিনের নিষ্ক্রিয়দের। এমন অবস্থা অব্যাহত থাকলে একসময় পুরো দলকে এর চরম খেসারত দিতে হবে বলে শঙ্কিত বিএনপির নেতারা।
নেতারা বলছেন, বিএনপির সুদিনের সম্ভাবনায় এখন অনেক হাইব্রিড নেতা জুটতে শুরু করেছেন, আওয়ামী লীগের অনেক সুবিধাভোগী খোলস পরিবর্তন করে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছেন। এ বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা থাকলেও বিভিন্ন কায়দা-কানুন করে দলের দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে আখের গোছানোর চেষ্টা করছেন বলে তারা জানতে পারছেন। এসব নেতাকর্মীই দেশের বিভিন্ন জায়গায় অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছেন। চতুর প্রকৃতির হাইব্রিড নেতারা সুযোগ বুঝে সটকে পড়লেও ধরা খাচ্ছেন বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী। যাদের অপকর্মের দায়ে বহিষ্কার হতে হচ্ছে।

এদিকে আত্মগোপনে থেকেও দখলদারিত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করছেন ছাত্রলীগের নেতারা। বহিষ্কার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় থাকলেও ছাত্রলীগের দখলবাজ নেতারা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। অনেক জায়গায় তারা নতুন করে পুনর্বাসিত হচ্ছেন। এর মধ্যে রমনা থানা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোস্তফার নেতৃত্বে শামীম, বিল্লালসহ আরও কয়েকজন রাজধানীর শাহবাগ ফুল মার্কেট নিয়ন্ত্রণ করতেন, চাঁদা তুলতেন। ৫ আগস্টের পর তারা কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়েছিলেন। যখন দেখছেন বহিষ্কার আতঙ্কে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফুল মার্কেট নিয়ন্ত্রণে নিচ্ছেন না, তখন আবার তারা ফিরে এসেছেন। তারা এসেই প্রথমে টার্গেট করেন বিএনপি সমর্থিতদের দোকান। গত সোমবার রাত ৩টার সময় শামীম, বিল্লাল ও চুন্নুর নেতৃত্বে আল আমিনসহ অন্যদের দোকানের মালপত্রসহ দখল করে নিয়েছেন। অভিযাগোর বিষয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

বরিশাল জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর মহানগর বিএনপির কতিপয় নেতার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে রূপাতলী বাসস্ট্যান্ড, লঞ্চঘাট ও চৌমাথা বাজার। এর মধ্যে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মোশারফ হোসেন। তিনি একসময় মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থাকলেও বিগত দিনে তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি। বরিশাল বালুমহালের একক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারের শ্বশুর ফিরোজ আহমেদ। তিনি সাবেক কাউন্সিলর। দলের নির্দেশনা অমান্য করে নির্বাচন করায় ফিরোজকে আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর তিনি আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ফিরোজের আপন ছোট ভাই কাওসার হোসেন শিপন মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক। তিনি আওয়ামী লীগ নেতা সাদিক আবদুল্লাহর ক্যাশিয়ার হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। এখন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা জিয়াউদ্দিন সিকদারের আত্মীয় পরিচয়ে সব অপকর্ম করছেন।

যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জিয়াউদ্দিন সিকদার সমকালকে বলেন, দল থেকে বহিষ্কার হওয়ার পর তাঁর শ্বশুর কী করেন, তা তিনি বলতে পারবেন না। এটা তাঁর দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।

শুধু বরিশাল নয়, দলের বিভিন্ন ইউনিটে অনেক নেতা রয়েছেন, যাদের বিগত দিনে কারাগারে যেতে হয়নি, নির্যাতন সইতে হয়নি, তারাই এখন হর্তাকর্তা। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করছেন। আর যারা মামলা-হামলায় ধ্বংসের কিনারায়, তারা রয়েছেন পদ-পদবি হারানোর আশঙ্কায়।

বরিশাল জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, সংগঠন থেকে কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। যার জন্য তারা দলীয় কর্মসূচির বাইরে কোথাও যান না। তবে কিছু নেতা যারা বিগত দিনে দলের দুঃসময়ে কোথাও ছিলেন না, তারা এখন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক হয়েছেন। দলের নেতাদের শেল্টারে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মী আগের মতোই ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। আর বিএনপি নেতাকর্মীরা আগের মতোই আর্থিক কষ্টে আছেন, মানবেতর জীবনে আছেন।

নেতাকর্মীরা জানান, বিগত বছরগুলোতে যেসব নেতাকর্মী পরিবার থেকে, আত্মীয়স্বজন থেকে কিংবা বন্ধু-বান্ধব থেকে নানা সহায়তা নিয়ে কর্মসূচি পালন করতেন, মামলা পরিচালনা করতেন; কিন্তু এখন দলের সুদিন আসছে মনে করে তারা ওই সুবিধা থেকেও বঞ্চিত। ফলে নেতাকর্মীরা আগের চেয়ে আরও কষ্টে আছেন। সেখানে সুবিধাবাদীরা আছেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়ার পর তারা বাসস্ট্যান্ড দখল করেছেন, বাজার দখল করেছেন, বন্দর দখল করেছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার মধ্যে এলজিইডি, সওজ, ওয়াসা থেকে আরও অন্যান্য জায়গায় আওয়ামী লীগের শূন্যস্থান পূরণ করেছেন। এসব স্থানে বিএনপির ত্যাগীরা নিয়মমাফিক ব্যবসা কিংবা ঠিকাদারি করতে গেলেও দখলের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। এতে অনেকে পড়ছেন বিপদে। বহিষ্কার হতে হচ্ছে। এ কারণে দলের অঙ্গসংগঠন ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা এসব প্রতিষ্ঠান এড়িয়ে চলছেন।

বগুড়ার ধুনট বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর একটি অংশ ভোল পাল্টে এখন বিএনপি সেজেছে। তাদের দাপটে এক সময় বিএনপি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারত না। এখন তারাই আবার বিএনপি হয়ে দাপট দেখাচ্ছে। এরই মধ্যে দখল, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মও শুরু করেছে তারা। এতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন দীর্ঘ ১৭ বছরের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা মামলা-হামলার শিকার স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ত্যাগী নেতাকর্মী। তারা এসব ‘হাইব্রিড’ ঠেকাতে চেষ্টা করছেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, দলে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে চেষ্টা চলছে। তাদের দলে ঢোকাতে যদি কোনো নেতার ইন্ধন থাকে, তাকেও ছাড় দেওয়া হবে না।

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত শেখ সাদী এখন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে সংসদ সদস্য হতে এলাকায় শোডাউন করছেন। তবে স্থানীয় নেতাদের দাবি, শেখ সাদী নব্য বিএনপি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে আগে কখনেও তাঁকে দেখা যায়নি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর বিএনপি নেতাকার্মীরা জানান, ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ফুলের তোড়া দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া বিএনপি নেতা সাদেকুর রহমান সাদেম, আবদুর রাজ্জাক, মুজিবুর রহমান, আবদুল আলিমসহ অন্য নেতারা এখন আবার বিএনপির কর্মসূচিতে সক্রিয়া হয়ে উঠেছেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাসুদ হোসেন বলেন, কয়েক সপ্তাহ আগেও যারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে ছিলেন, তারা হঠাৎ বিএনপিতে সক্রিয় হয়েছেন। এভাবে অনুপ্রবেশকারীরা ভিড়লে আওয়ামী লীগের মতো করুণ দশা হতে পারে দলের।

ঢাকা মহানগর বিএনপিতেও চলছে অতিবিপ্লবী নেতাদের দাপট। বিগত দিনের আন্দোলনে কোথাও না থাকলে এখন হয়েছেন সবচেয়ে কট্টর নেতা। তারাই এখন বড় নেতা সেজেছেন। তারাই নিয়ন্ত্রণ করছেন বড় বড় প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার, সরবরাহকারীর কার্যক্রম। কাকে কোন পদে বসাবেন, কাকে সরাবেন তাও তারা নিয়ন্ত্রণ করছেন। সেখানে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়ার ঘটনাও ঘটছে। খিলগাঁও তালতলা মার্কেট দখল নিয়ে নব্য বিএনপি নেতারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের ওপর হামলা করে আহত করেছেন। এর পর রামপুরা থানায় তাদের বিরুদ্ধে উল্টো মামলা দিয়েছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় বিএনপি নেতাদের।
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর তুরাগ থানায় ৫২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন পদধারী নেতার উপস্থিত থাকা নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। মহানগর বিএনপি নেতা মোস্তফা জামানের উপস্থিতিতে ওই সমাবেশে আওয়ামী লীগের যারা উপস্থিত ছিলেন, তারা এখন ভোল পাল্টে ফেলেছেন। প্রতিবাদ সমাবেশের মূল মঞ্চে বসা ছিলেন যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, কৃষক লীগের তুরাগ থানার ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের তুরাগ থানার সাধারণ সম্পাদক আশরাফ খান। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া আবু তাহের আবুল খানসহ অনেকেই।

এ বিষয়ে মহানগর বিএনপি নেতা মোস্তফা জামানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।

দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সমকালকে বলেন, হাইব্রিড নেতাদের বিষয়ে তারা সতর্ক রয়েছেন। এরই মধ্যে দল থেকে নেতাকর্মীকে সতর্ক করা হয়েছে। দলে যোগদান অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। এর পরও বিভিন্ন জায়গায় বিএনপির নাম ভাঙিয়ে অনেকে অনেক অপকর্ম করছেন। যাদের সঙ্গে বিএনপির ন্যূনতম কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এসব বিষয়ে তারা যথেষ্ট সজাগ রয়েছেন। বিএনপির দুর্দিনে যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, পরিশ্রম করেছেন– দল তাদের মূল্যায়ন করবে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ বিষয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীকে বিভিন্ন সময়ে আশ্বস্ত করেছেন।