১০ মাস ধরে অকেজো বেনাপোল বন্দরের কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিন

প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৪

বেনাপোল প্রতিনিধি

পাঁচ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপিত দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে আছে। বন্ধ হয়ে আছে আমদানিকৃত পণ্যবোঝাই ট্রাক স্ক্যানিং করা। ফলে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে নিষিদ্ধ জাতীয় কিছু আছে কিনা সেটি ধরা সম্ভব হচ্ছে না।

চীন সরকার ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে বেনাপোলে কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি স্থাপন করেন। এরপর একজন চীনা ইঞ্জিনিয়ার ৩ মাস ধরে কাস্টমস অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেন। কিছুদিন চলার পর গত বছরের এপ্রিলে এটি নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে মেশিনটি কার্যকর করার জন্য কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। অবশ্য মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছেন বলে জানান তারা।

দ্রুত পণ্য খালাসের জন্য স্ক্যানিং মেশিনটি সরকার। এটি পণ্যবোঝাই ট্রাকের পণ্য ছবি আকারে স্ক্যানিং করে কম্পিউটারে ধারণ করে রাখে। কোনও অনিয়ম দেখলেই স্ক্যানিং মেশিনে রেড সিগন্যাল দিয়ে প্যাকেজটি দেখিয়ে দেবে। যেসব পণ্যের স্ক্যানিং করা হবে সেগুলো আর পরীক্ষার দরকার নেই। বর্তমানে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে ১০ শতাংশেরও বেশি পণ্যের চালান পরীক্ষা করছেন। ফলে অধিকাংশ প্যাকেজ কেটে-ছিঁড়ে নষ্ট করা হচ্ছে। আমদানিকারক ওই পণ্য ডেলিভারি নেওয়ার পর তা আর বাজারজাত করতে পারছেন না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটসের কর্মকর্তা বনি আমিন বলেন, ‘দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। তারা বলেছেন, বিষয়টি দেখছি।’অত্যাধুনিক এই স্ক্যানিং মেশিনে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকে আসা রাসায়নিক, মাদক, অস্ত্র ও নিষিদ্ধঘোষিত পণ্য শনাক্ত করতে সক্ষম। চায়না ইঞ্জিনিয়ার চলে যাওয়ার পর মেশিনটি পরিচালনার দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাসোসিয়েটস।

সিঅ্যান্ডএফ ব্যবসায়ী হবিবার রহমান (হবি) জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্য যাচাই-বাছাই এবং আমদানি নিষিদ্ধ কোনও কিছু যাতে দেশে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য আছে একটি মাত্র কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিন। সেটি প্রায় ১০ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এটি দ্রুত মেরামত করে সচল করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি।

বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা কনটেইনার স্ক্যানিং মেশিনটি মেরামতের জন্য একাধিকবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে চিঠি দিয়েছি। আশা করি, যত দ্রুত সম্ভব এটি মেরামত করা সম্ভব হবে।’