১৫টি ছবিতে গাজায় ইসরায়েলের ১৫ মাসের বর্বর আগ্রাসন

প্রকাশিত: ১১:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট:

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ রেখে গেছে ধ্বংসের স্থিরচিত্র, এই যুদ্ধের কারণে দুই মিলিয়নেরও বেশি ফিলিস্তিনির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে।

যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতাকারী কাতার ঘোষণা করেছে যে ইসরায়েল এবং হামাস ১৫ মাস ধরে চলমান যুদ্ধ থামাতে এবং বন্দী বিনিময়ে একটি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। দুইপক্ষই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হলেও ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গাজা উপত্যকায় এখনো আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পর থেকে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে চালানো ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৩০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

এর আগে বুধবার ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫৯ জন নিহত হয়েছেন বলে আল জাজিরাকে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলের বিমান ও স্থল হামলা অব্যাহত থাকায় গাজায় বসবাসরত ২৩ লাখের বেশি ফিলিস্তিনির অবস্থা এখনো ভয়াবহ। এখনো গাজা উপত্যকা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজায় চলমান ১৫ মাসের যুদ্ধের ১৫টি ছবি এখানে তুলে ধরা হয়েছে, যা ফিলিস্তিনিদের জীবনের দুর্ভোগের সামান্য চিত্রই তুলে ধরতে পেরেছে।

রাফাহতে দান করা খাবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। (১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার ২০২৪৷) আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থাগুলো বলছে, গাজার অধিবাসীরা খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য মৌলিক সরবরাহের ঘাটতিতে ভুগছে৷

২০২৪ সালের ২২ মার্চ গাজা উপত্যকার রাফাতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের কাছে মুসলিমরা পবিত্র রমজান মাসের জুমার নামাজ আদায় করছেন।

ইসরায়েলি হামলার পর ক্ষতিগ্রস্ত জিনিসপত্র দেখছেন ফিলিস্তিনিরা। ১৪ অক্টোবর ২০২৪

গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য শিশুকে নিয়ে অপেক্ষা করছেন এক মা।

১৭ অক্টোবর, ২০২৩।১৭ বছর বয়সী রাহাফ আবু লাবানের লাশ নিয়ে স্বজনদের আহাজারী।

২০২৪ সালে ২৯ নভেম্বর দুটি শিশুর দাফনের আগের জানাজা পড়াচ্ছেন ইমাম ইসলাম আবু সুয়াইদ। একটি শিশু জন্মের সময় মারা গিয়েছিল। অপরটি ঠাণ্ডা জনিত রোগে। চলমান যুদ্ধের কারণে উপতক্যাটিতে শীত নিবারণের পোশাকের বেশ অভাব দেখা গেছে।

২০২৪ সালের ২৮ মে ইসরায়েলি হামলার সময় রাফা ছেড়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।

গাজার সর্বশেষ কার্যকরী একটি ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট (বিশেষ উপায়ে পানি পরিচ্ছন্ন করার যন্ত্র) থেকে পানির পাত্র ভরছেন ফিলিস্তিনিরা। ইসরায়েলের লাগাতার হামলার ফলে গাজার পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে গেছে। ফলে বসবাসের তাবুগুলোর কাছেও আবর্জনার স্তূপ জমেছে।

২০২৪ সালের ২৮ মে ইসরায়েলি হামলার সময় রাফা ছেড়ে যাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে ইসরায়েলি বোমা হামলার পর ধোঁয়া উঠছে। ২০২৪ সালের ২২ জুলাই।