ক্রীড়া ডেস্ক:
১৯ বছর আগে যেখানে শুরু করেছিলেন, সেই রাজশাহীতেই প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটি খেললেন ফরহাদ হোসেন। ২০০৫ সালের মার্চে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল রাজশাহীর এ ব্যাটিং অলরাউন্ডারের। ১৬১টি ম্যাচ খেলার পর গতকাল অবসর নিয়েছেন তিনি। তবে ৩৭ বছর বয়সী এ ক্রিকেটার জয় দিয়ে ইতি টানতে পারেননি। বিদায়ী ম্যাচে রংপুরের কাছে ১০১ রানে হেরে গেছে তাঁর দল রাজশাহী। ভালো করতে পারেননি ফরহাদও। রংপুরের বিপক্ষে দুই ইনিংসে করেছেন ২৬ ও ৯ রান।
তবে জয়-পরাজয় ছাপিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৮টি সেঞ্চুরিতে ৯০৬৫ রান ও ১৬৫ উইকেট নেওয়া ফরহাদকে গতকাল রাজশাহী ও রংপুর দুই দল মিলে বিদায়ী সংবর্ধনা দিয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় দলের পক্ষ থেকে সব খেলোয়াড় স্বাক্ষরিত একটি জার্সি দেওয়া হয় ফরহাদের হাতে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে নির্বাচক হান্নান সরকার তাঁর হাতে স্মারক ক্রেস্ট তুলে দেন। তখন জাতীয় দল ও রাজশাহী বিভাগীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট এবং ম্যাচ রেফারি এহসানুল হক সেজান উপস্থিত ছিলেন।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর পেছনে ফর্ম না থাকাকেই কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করলেন ফরহাদ, ‘জার্নিটা অনেক লম্বাই ছিল। কোনো আক্ষেপ থেকে সিদ্ধান্ত নিইনি। সম্প্রতি মনে হচ্ছিল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রত্যাশা মতো পারফর্ম করতে পারছি না। এজন্যই একটু তড়িঘড়ি করেই পরিবার, কোচ ও টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
বিদায় বেলায় তেমন কোনো অতৃপ্তি নেই বলেও জানান ফরহাদ, ‘কোনো অতৃপ্তি নেই। এত দিন পর্যন্ত যতটুকু খেলতে পেরেছি, আমার মনে হয় সেটাই যথেষ্ট। আরেকটু খেলতে পারলে হয়তো রেকর্ডটা আরেকটু ভালো হতো। আমার টার্গেটও ছিল ১০ হাজার রান করা। এখন ৯ হাজারের বেশি রান নিয়ে অবসরে যাচ্ছি। আমি এতেই খুশি।’ নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়েও বলেছেন ফরহাদ, ‘প্রিমিয়ার লিগের আগামী আসরটা আমি খেলব। এরপর কোচিংয়ে চলে যাব।’
ড্র ম্যাচে মিঠুনের সেঞ্চুরি: কক্সবাজার একাডেমি মাঠে সিলেটের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়েও ড্র করেছে খুলনা। আর এ ড্রয়ের কৃতিত্ব খুলনার অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের। ২২৩ রানে পিছিয়ে থেকে ফলোঅনে পড়ে গতকাল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে খুলনা। মিঠুনের দাপটে ৩ উইকেটে ২৯৬ রান তোলার পর ড্র মেনে নেয় দুই দল। খুলনার এ ব্যাটার ১০২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ৭টি করে চার ও ছক্কায় সাজানো ছিল মিঠুনের ১০৮ বলের ইনিংসটি। তাঁর সেঞ্চুরি হতেই ম্যাচ শেষ হয়। এ ছাড়া খুলনার ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয় ও নুরুল হাসান সোহান হাফ সেঞ্চুরি করেন।