২০ বছরের ইতিহাসে ফিলিস্তিনে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি

প্রকাশিত: ৭:০৫ অপরাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০২৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ব্যাপক হামলা চালিয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান জানায়, স্মরণকালে এত বড় পরিসরে হামলা চালানো হয়নি।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রোববার মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া এই হামলায় ৮ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আলজাজিরাকে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগ আরও জানায়, জেনিনের শরণার্থী ক্যাম্পে এবং রামাল্লায় চালানো এই হামলায় ৮ জন নিহত হয়েছেন। বিমান ও স্থলপথ দুভাবে এ হামলা চালানো হয়। ক্যাম্পে ১৪ হাজার শরণার্থীর বসবাস। জায়গাটিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী।

ইসরায়েলি বাহিনীর এ হামলায় নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন জর্ডানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সিনান আল মাজালি। তিনি এ ঘটনাকে আন্তর্জাতিক মানবতা আইনবিরোধী বলে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের প্রতিবাদ জানান। তিনি ফিলিস্তিনের মানুষদের নিরাপত্তাবিধানে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সাহায্য চান।

এদিকে পৃথকভাবে মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের ফলে ফিলিস্তিনি মানুষের দুর্দশা বাড়ছে এবং দখলকৃত জায়গা নিয়ে দ্বন্দ্ব সমাধানের পথ বন্ধ হচ্ছে। মিশর অবিলম্বে এই আগ্রাসন বন্ধে আন্তর্জাতিক মোড়লদের হস্তক্ষেপ আশা করেন।

ফিলিস্তিনের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আহতদের ইসরায়েলি আক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য সেফ প্যাসাজ দেওয়ার আবেদন করেছে।
এক বিবৃতিতে তারা জানায়, আমরা রেডক্রস এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতার মাধ্যমে ইসরায়েলকে সেফ প্যাসাজ দেওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ করছি। আহত এবং হতাহতদের সংখ্যা ক্রমে বেড়ে চলেছে।

আল জাজিরাকে মোহাম্মদ কামানজি নামের একজন উকিল, মানবাধিকার কর্মী এবং গবেষক জানান, জেনিন শহরে এবং ক্যাম্পে ভয়াবহ অবস্থা। তিনি বলেন, এখন যেটা হচ্ছে তা হলো- শত শত ইসরাইলি সৈন্যরা শহরে ও ক্যাম্পে ঢুকে পড়েছে। এদিকে বিমানহামলাও বহাল তালে চলছে।

তিনি আরও জানান, ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর বুলডোজার এবং সামরিক অস্ত্রে সুসজ্জিত গাড়িতে ভরে গেছে শহরের রাস্তাঘাট। এই গাড়ি ও সৈন্যের বহর সবকিছু ধ্বংস করছে। তারা নাগরিকদের সম্পদ নষ্ট করছে। এ হামলায় অনেকে আহত হয়েছেন। নিহতদের ভেতর শিশুরা রয়েছে।