২০২৪ সাল কাঁপাবে যেসব প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০২৪

প্রযুক্তি ডেস্কঃ

প্রযুক্তি অত্যন্ত দ্রুতগতির বিবর্তনশীল এবং বিকাশমান একটি জগৎ। প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। পাশাপাশি বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোরও নতুন প্রয়োগ ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় সেগুলোরও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এরমধ্যে কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলোকে বলা যেতে পারে ২০২৪ সালকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এমন কয়েকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১. জেনারেটিভ এআই২০২২ সালের শেষের দিক থেকে যাত্রা শুরু হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই)। শুরুর পর থেকেই বলা যেতে পারে এটি প্রযুক্তির জগতে বেশ বড় একটি প্রভাব বিস্তার করেছে। এ বছরও এটি একটি নেতৃস্থানীয় জায়গা দখল করবে। বড় বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের পাশাপাশি অল্প খরচের ছোট ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলও তৈরি হবে। তথ্য এবং জেনারেটিভ এআই মডেলের সংমিশ্রণে তৈরি হবে একটি অপ্রতিরোধ্য প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে শুরু হবে এর ব্যাপক ব্যবহার। প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ছাড়াই এটি কাজ করবে। সুদূর ভবিষ্যতে এটি ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক মডেল ডিজাইনে নেতৃত্ব দেবে এবং প্রতিটি কাজের জন্য এআই খুব সূক্ষ্মভাবে পারদর্শী হবে।২. কোয়ান্টাম প্রযুক্তি

বর্তমানে একটি সাইবার প্রতিযোগিতা চলছে, যেখানে কম্পিউটারের শক্তি বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে এআই এবং মেশিন লার্নিং সবাই মিলে সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে কাজ করছে। সমস্যা হলো, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নতুন একটি হুমকিও তৈরি হচ্ছে। এটি ডেভেলপ হলে আরএসএ এবং ইসিসি’র মতো এনক্রিপশনের স্ট্যান্ডার্ডগুলো আর কাজে আসবে না। ভবিষ্যতে ডাটা প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তার জন্য কোয়ান্টাম-রেজিস্ট্যান্ট অ্যালগরিদম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। এ বছর আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেকনোলজি পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি অর্থাৎ এনক্রিপশন অ্যালগরিদম’র স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করবে, যা কোয়ান্টাম আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারবে। অর্থাৎ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কারণে বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তার একটি বড় বিবর্তন ঘটবে।

৩. সেমিকন্ডাক্টর

ডিজিটাল রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হলো সেমিকন্ডাক্টর। মুর’র সূত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছরে মাইক্রোচিপের কম্পিউটিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হয় আর দাম অর্ধেক হয়। তবে এই সূত্রের বাস্তবিক এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি তার রূপান্তরের প্রায় প্রান্তে চলে এসেছে। এ বছর এর বিভিন্ন ফ্যাক্টর একটি সমতল অবস্থানে চলে আসবে। দুই ন্যানোমিটারের চিপ আসবে। ট্র্যানজিস্টরের আকৃতি হবে কয়েকটি অণুর সমান মাত্র। সব মিলিয়ে মুর’র সূত্রটিরও একটি বিবর্তন হয়ে যাবে। চিপগুলোর ক্ষুদ্র হওয়ার একটি চরম সীমায় চলে আসাতে ত্রিমাত্রিক চিপের জগৎ শুরু হতে পারে। পাশাপাশি ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এবং লিথোগ্রাফির নতুন ফর্ম কম্পিউটিং ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. ব্যাটারি

সরকারি এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্যই ব্যাটারির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মূল্য হ্রাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈদ্যুতিক সচলতা এবং এনার্জি স্টোরেজের স্থায়িত্ব বাড়ানো বর্তমান সময়ের মূল উদ্দেশ্য। স্মার্ট গ্রিড এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে এটাকে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে লিথিয়াম ফেরো-ফসফেট বা এলএফপি এবং নিকেল ম্যাঙ্গানিজ কোবাল্ট বা এনএমসি যানবাহনের জন্য একটি আদর্শ সমাধান হয়ে উঠবে। ব্যাটারি রসায়নের অনেক প্রযুক্তিই আসবে এ বছর। যেমন, কোবাল্টমুক্ত (সোডিয়াম-আয়ন) অথবা সলিড-স্টেট ব্যাটারি ইত্যাদি। অর্থাৎ বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে ব্যাটারির একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কেননা, গাড়িতে অনেক উচ্চক্ষমতার ব্যাটারি লাগে। আর গতানুগতিক ব্যাটারির চেয়ে এর দামও কমে আসবে। ব্যাটারি তৈরিতে কিছু কিছু মৌলিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে আসবে এ বছর। যেমন, লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট, বিরল প্রাকৃতিক খনিজ এবং গ্রাফাইট। সেই সঙ্গে ব্যাটারিগুলো হবে নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদি।

৫. মহাকাশ প্রযুক্তি

এ বছর মানব জাতি চাঁদে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেবে। মহাকাশের প্রতি আবারও তৈরি হওয়া এই আগ্রহ নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করবে এবং পৃথিবীর অনেক জটিল সমস্যাকেও সমাধান করবে। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিপদ, টেলিকমিউনিকেশনের আরও অগ্রগতি, প্রতিরক্ষা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে। মহাকাশ ভ্রমণের কাজটি শুধু সরকার নয়, এবার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানও এতে অংশ নেবে। বড় বড় কিছু প্রযুক্তি যেমন ৫-জি, আধুনিক স্যাটেলাইট ব্যবস্থা, বড় আকারের ডাটা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে।

এসব প্রযুক্তি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি আরও কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যা আগামী পাঁচ বছরে পুরো পৃথিবীকে বদলে দিতে বিশেষ অবদান রাখবে। যেমন, লো-কার্বন হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন পরিবেশবান্ধব একটি জ্বালানি। কেননা, এটাকে উৎপাদন করতে শুধু পানিকে জ্বালালেই হয়। এরপরে রয়েছে কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি। আগামীতে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী শিল্প কারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা হবে। এরপর আলোচনায় আসবে সিনথেটিক বায়োলজি। সাম্প্রতিক কোভিডের আক্রমণের পর থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনকে অনেক দ্রুতগতিতে উন্নত করা হবে। সিনথেটিক বায়োলজির মাধ্যমে বায়োলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এবং বায়োটেকনোলজিকে একত্রিত করা হবে, যা নাটকীয়ভাবে ওষুধ, কৃষি এবং পরিবেশের স্থায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়কে অনেক অগ্রসর করবে।

প্রযুক্তি অত্যন্ত দ্রুতগতির বিবর্তনশীল এবং বিকাশমান একটি জগৎ। প্রতিনিয়তই আসছে নতুন নতুন প্রযুক্তি। পাশাপাশি বিদ্যমান প্রযুক্তিগুলোরও নতুন প্রয়োগ ক্ষেত্র তৈরি হওয়ায় সেগুলোরও ব্যবহার বাড়ছে প্রতিনিয়ত। এরমধ্যে কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলোকে বলা যেতে পারে ২০২৪ সালকে প্রতিনিধিত্ব করবে। এমন কয়েকটি প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

১. জেনারেটিভ এআই২০২২ সালের শেষের দিক থেকে যাত্রা শুরু হয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই)। শুরুর পর থেকেই বলা যেতে পারে এটি প্রযুক্তির জগতে বেশ বড় একটি প্রভাব বিস্তার করেছে। এ বছরও এটি একটি নেতৃস্থানীয় জায়গা দখল করবে। বড় বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের পাশাপাশি অল্প খরচের ছোট ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলও তৈরি হবে। তথ্য এবং জেনারেটিভ এআই মডেলের সংমিশ্রণে তৈরি হবে একটি অপ্রতিরোধ্য প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে শুরু হবে এর ব্যাপক ব্যবহার। প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিজ্ঞ টেকনিক্যাল এক্সপার্ট ছাড়াই এটি কাজ করবে। সুদূর ভবিষ্যতে এটি ইন্টারকানেক্টেড নেটওয়ার্ক মডেল ডিজাইনে নেতৃত্ব দেবে এবং প্রতিটি কাজের জন্য এআই খুব সূক্ষ্মভাবে পারদর্শী হবে।২. কোয়ান্টাম প্রযুক্তি

বর্তমানে একটি সাইবার প্রতিযোগিতা চলছে, যেখানে কম্পিউটারের শক্তি বাড়ানো একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। বর্তমানে এআই এবং মেশিন লার্নিং সবাই মিলে সাইবার হুমকির বিরুদ্ধে কাজ করছে। সমস্যা হলো, কোয়ান্টাম কম্পিউটিংয়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে নতুন একটি হুমকিও তৈরি হচ্ছে। এটি ডেভেলপ হলে আরএসএ এবং ইসিসি’র মতো এনক্রিপশনের স্ট্যান্ডার্ডগুলো আর কাজে আসবে না। ভবিষ্যতে ডাটা প্রাইভেসি এবং নিরাপত্তার জন্য কোয়ান্টাম-রেজিস্ট্যান্ট অ্যালগরিদম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে উঠবে। এ বছর আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেকনোলজি পোস্ট-কোয়ান্টাম ক্রিপ্টোগ্রাফি অর্থাৎ এনক্রিপশন অ্যালগরিদম’র স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করবে, যা কোয়ান্টাম আক্রমণকে প্রতিহত করতে পারবে। অর্থাৎ কোয়ান্টাম কম্পিউটারের কারণে বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তার একটি বড় বিবর্তন ঘটবে।

৩. সেমিকন্ডাক্টর

ডিজিটাল রূপান্তরের মূল হাতিয়ার হলো সেমিকন্ডাক্টর। মুর’র সূত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছরে মাইক্রোচিপের কম্পিউটিং ক্ষমতা দ্বিগুণ হয় আর দাম অর্ধেক হয়। তবে এই সূত্রের বাস্তবিক এবং আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে। বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রি তার রূপান্তরের প্রায় প্রান্তে চলে এসেছে। এ বছর এর বিভিন্ন ফ্যাক্টর একটি সমতল অবস্থানে চলে আসবে। দুই ন্যানোমিটারের চিপ আসবে। ট্র্যানজিস্টরের আকৃতি হবে কয়েকটি অণুর সমান মাত্র। সব মিলিয়ে মুর’র সূত্রটিরও একটি বিবর্তন হয়ে যাবে। চিপগুলোর ক্ষুদ্র হওয়ার একটি চরম সীমায় চলে আসাতে ত্রিমাত্রিক চিপের জগৎ শুরু হতে পারে। পাশাপাশি ম্যাটেরিয়াল সায়েন্স এবং লিথোগ্রাফির নতুন ফর্ম কম্পিউটিং ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. ব্যাটারি

সরকারি এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্যই ব্যাটারির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মূল্য হ্রাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বৈদ্যুতিক সচলতা এবং এনার্জি স্টোরেজের স্থায়িত্ব বাড়ানো বর্তমান সময়ের মূল উদ্দেশ্য। স্মার্ট গ্রিড এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানির পক্ষে এটাকে সামাল দেওয়া বেশ কঠিন। এক্ষেত্রে লিথিয়াম ফেরো-ফসফেট বা এলএফপি এবং নিকেল ম্যাঙ্গানিজ কোবাল্ট বা এনএমসি যানবাহনের জন্য একটি আদর্শ সমাধান হয়ে উঠবে। ব্যাটারি রসায়নের অনেক প্রযুক্তিই আসবে এ বছর। যেমন, কোবাল্টমুক্ত (সোডিয়াম-আয়ন) অথবা সলিড-স্টেট ব্যাটারি ইত্যাদি। অর্থাৎ বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে ব্যাটারির একটি বড় পরিবর্তন আসবে। কেননা, গাড়িতে অনেক উচ্চক্ষমতার ব্যাটারি লাগে। আর গতানুগতিক ব্যাটারির চেয়ে এর দামও কমে আসবে। ব্যাটারি তৈরিতে কিছু কিছু মৌলিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতাও কমে আসবে এ বছর। যেমন, লিথিয়াম, নিকেল, কোবাল্ট, বিরল প্রাকৃতিক খনিজ এবং গ্রাফাইট। সেই সঙ্গে ব্যাটারিগুলো হবে নিরাপদ এবং দীর্ঘমেয়াদি।

৫. মহাকাশ প্রযুক্তি

এ বছর মানব জাতি চাঁদে ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেবে। মহাকাশের প্রতি আবারও তৈরি হওয়া এই আগ্রহ নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারকে ত্বরান্বিত করবে এবং পৃথিবীর অনেক জটিল সমস্যাকেও সমাধান করবে। আবহাওয়া সংক্রান্ত বিপদ, টেলিকমিউনিকেশনের আরও অগ্রগতি, প্রতিরক্ষা এবং সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসবে। মহাকাশ ভ্রমণের কাজটি শুধু সরকার নয়, এবার প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানও এতে অংশ নেবে। বড় বড় কিছু প্রযুক্তি যেমন ৫-জি, আধুনিক স্যাটেলাইট ব্যবস্থা, বড় আকারের ডাটা এবং কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে।

এসব প্রযুক্তি ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি আরও কিছু প্রযুক্তি রয়েছে, যা আগামী পাঁচ বছরে পুরো পৃথিবীকে বদলে দিতে বিশেষ অবদান রাখবে। যেমন, লো-কার্বন হাইড্রোজেন। হাইড্রোজেন পরিবেশবান্ধব একটি জ্বালানি। কেননা, এটাকে উৎপাদন করতে শুধু পানিকে জ্বালালেই হয়। এরপরে রয়েছে কার্বন ক্যাপচার প্রযুক্তি। আগামীতে নতুন প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী শিল্প কারখানা থেকে কার্বন নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে আনা হবে। এরপর আলোচনায় আসবে সিনথেটিক বায়োলজি। সাম্প্রতিক কোভিডের আক্রমণের পর থেকে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। এর মাধ্যমে ভ্যাকসিনকে অনেক দ্রুতগতিতে উন্নত করা হবে। সিনথেটিক বায়োলজির মাধ্যমে বায়োলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এবং বায়োটেকনোলজিকে একত্রিত করা হবে, যা নাটকীয়ভাবে ওষুধ, কৃষি এবং পরিবেশের স্থায়িত্ব ইত্যাদি বিষয়কে অনেক অগ্রসর করবে।