নিজস্ব প্রতিবেদক
মোট ২৪ কোচের একটি বিশাল আন্তঃদেশীয় ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর জোড়া মসজিদে পবিত্র বার্ষিক ওরস শরিফে অংশ নিতে এই ট্রেনের মাধ্যমে মেদিনীপুর যাবেন বাংলাদেশের মুরিদরা।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের সহকারী চিফ অপারেটিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. আব্দুল আওয়ালের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ভারতের মেদিনীপুরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ওরসে আঞ্জুমান কাদেরিয়ায় বাংলাদেশের মুরিদদের যোগদানের জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের রাজবাড়ী থেকে ভারতের মেদিনীপুর পর্যন্ত একটি বিশেষ ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সেই হিসেবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ২২টি সাধারণ বসার কোচ ও দুইটি প্রতিবন্ধীদের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির লাগেজ কোচের সমন্বয়ে ২৪ কোচের ভারতীয় খালি রেক দর্শনা থেকে উন্মুক্ত পথে রাজবাড়ী আনতে হবে। রাজবাড়ী স্টেশনে স্পেশাল ট্রেনটি ওয়াটারিং এবং ক্লিনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। ওইদিন রাত ১০টায় স্পেশাল ট্রেনটি রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে দর্শনা বর্ডার দিয়ে ১৫ ফেব্রুয়ারি গেদে পৌঁছাবে এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি মেদিনীপুর পৌঁছাবে।
স্পেশাল ট্রেনটি ১৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের সময় রাত ১০টায় মেদিনীপুর থেকে ছেড়ে ভারতের গেদে বর্ডার দিয়ে দর্শনা হয়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজবাড়ী আসবে। একই তারিখ উন্মুক্ত পথে ভারতীয় খালি রেক রাজবাড়ী স্টেশন থেকে দর্শনা পাঠাতে হবে।স্পেশাল ট্রেনটি পরিচালনার জন্য দর্শনা-রাজবাড়ী-দর্শনা রুটে বাংলাদেশ রেলওয়ের লোকোমোটিভ কাজ করবে। ডিটিও, ডিএমই (লোকো), পাকশী ওই স্পেশাল ট্রেনে দর্শনা-রাজবাড়ী-দর্শনা পর্যন্ত গার্ড ও ক্রুর ব্যবস্থা করবেন।
১৪ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি এটিও-১, পাকশী এবং এসিও (দক্ষিণ), পাকশী যথাক্রমে রাজবাড়ী ও দর্শনা স্টেশনে অবস্থান করে সার্বক্ষণিক সুষ্ঠু ও সময়ানুবর্তিতার সাথে ট্রেন পরিচালনা তদারকি করবেন। ভারতীয় খালি রেক দর্শনা থেকে উন্মুক্ত পথে রাজবাড়ী আনা-নেওয়া এবং স্পেশাল ট্রেনটি পরিচালনার জন্য পাকশী কন্ট্রোল অফিসে সার্বক্ষণিক ট্রেন মনিটরিং তদারকির জন্য ডিটিও, পাকশী কর্মকর্তা নিয়োজিত করবেন।
রেলওয়ের প্রচলিত বিধি-বিধান অনুসরণ করে সার্বিক মূল্য/চার্জ গ্রহণ করতে হবে। মুসল্লিদের রেলযোগে নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে রাজবাড়ী স্টেশনে পর্যাপ্ত সংখ্যক জিআরপি ও আরএনবি সদস্য নিয়োজিত করতে হবে।