২৪১ কোটি টাকা পাচারের দায়ে টেলেক্সের এমডি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২৩

নিজস্ব প্রতিবেদক:
টেলেক্সের এমডি-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
অর্থপাচারের অভিযোগে টেলেক্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইজিডাব্লিউ) লাইসেন্সধারী অপারেটর হয়ে আন্তর্জাতিক ইনকামিং কলের মূল্য বাবদ ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা (৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার) পাচারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ রোববার (২২ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়- ১ এর উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন আহাম্মদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়, টেলেক্স লিমিটেড আন্তর্জাতিক কিংবা বৈদেশিক ইনকামিং কল আনয়ন তথা সেবা রপ্তানির জন্য বিটিআরসি থেকে আইজিডব্লিউ লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মজিবুর রহমান।

দুদকের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আন্তর্জাতিক ইনকামিং কল বা সেবা রপ্তানি বাবদ রাষ্ট্রের স্বার্থে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং তার সংশ্লিষ্ট রেভিনিউ সংগ্রহ সংক্রান্ত সরকারি কর্তব্য সম্পাদনে কমিশন আকারে পারিশ্রমিক প্রাপ্তি কিংবা রেভিনিউ শেয়ারিং প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিটিআরসি টেলেক্সকে লাইসেন্স দেয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালের আগস্ট থেকে ২০১৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত সময়ে ১০২ কোটি ১০ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কল মিনিট আনয়ন তথা সেবা রপ্তানি করে। রপ্তানি করা এ সেবার মূল্য বাবদ প্রতি কল মিনিট ০.০৩০ মার্কিন ডলার হিসাবে ৩ কোটি ৬ লাখ ৩১ হাজার ৪০৭ মার্কিন ডলার দেশে আসার কথা। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি তার ব্যাংক হিসাবে মাধ্যমে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৯১৪ মার্কিন ডলার প্রত্যাবাসিত করেছে। অর্থাৎ প্রত্যাবাসিত হয়নি ৩ কোটি ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৯৩ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে আব্দুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মোহাম্মদ মজিবুর রহমান দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এতে দেখা যায়, বাংলাদেশের স্বার্থ থাকা সত্ত্বেও বিদ্যমান মানিলন্ডারিং আইন লঙ্ঘন করে ২৪০ কোটি ৯৪ লাখ ৪২ হাজার ৫৯৯ টাকা পাচার করা হয়েছে।