২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস

প্রকাশিত: ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্ক যাচ্ছেন অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।

শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণে বিষয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘জাতিসংঘে ভাষণে বাংলাদেশে গত দুই মাসে গণ-অভ্যুত্থানের কথা তুলে ধরবেন ড. ইউনূস। তিনি একটি গণমুখী, কল্যাণধর্মী ও জনস্বার্থমূলক রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রতি তার অঙ্গীকার পুনরুল্লেখ করবেন।’

তৌহিদ হোসেন বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশের সুদৃঢ় অবস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক সংঘাত, রোহিঙ্গা সংকট, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সমস্যা, সম্পদের অবৈধ পাচাররোধ, অভিবাসী অধিকার রক্ষার মতো বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
তিনি বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা মাত্র তিনদিন নিউইয়র্কে থাকবেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। প্রধান উপদেষ্টা পূর্ববর্তী সরকার প্রধানদের মতো চার্টার ফ্লাইটে নয়, বাণিজ্যিক ফ্লাইটে এ যাতায়াত করবেন।

অধ্যাপক ইউনূসের অংশগ্রহণের তাৎপর্য তুলে ধরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত সম্মানিত। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তার বক্তব্যকে গুরুত্ব দেবে। এটি গুরুত্বের সঙ্গে লক্ষণীয় যে বাংলাদেশের অন্তর্র্বতী সরকার একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংস্কার শুরু করেছে এবং এ ইউএনজিএ অধিবেশন বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়বিচার-ভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শনের একটি চমৎকার সুযোগ।’
তিনি বলেন, নিউইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা নেদারল্যান্ডস, পাকিস্তান ও নেপালের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট, জাতিসংঘের মহাসচিব, জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এবং ইউএসএআইডি প্রশাসক অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, এসব আলোচনার মূলবিষয় হবে মানবাধিকার ও সরকারের সংস্কার উদ্যোগ এবং বাংলাদেশ মানবাধিকার ইস্যুতে প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখবে।