ক্রীয়া ডেস্ক:
বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ আয়োজন করছে পাকিস্তান। ২১ আগস্ট হতে যাওয়া প্রথম টেস্টের জন্য তারা স্কোয়াডে কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনার রাখেনি। অর্থাৎ পুরো পেস নির্ভর বোলিং বিভাগ নিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তদের মুখোমুখি হবে শান মাসুদের দল। এমন দৃষ্টান্ত ২৮ বছর আগে প্রথম দেখিয়েছিল পাকিস্তান। এবার নিজেদের মাটিতে দ্বিতীয়বার তারা কেবল পেসারদের নিয়ে টেস্ট খেলতে নামছে।
২১ আগস্ট রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের প্রথম টেস্ট। আগে থেকেই বলা হচ্ছিল সেখানকার পিচ অনেকটা পেস-বান্ধব। সে কারণে স্বাগতিকরা বাড়তি পেসার খেলাতে পারে, এমনটা অনুমেয় ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা কোনো বিশেষজ্ঞ স্পিনারকে রাখছে না ম্যাচটিতে। স্কোয়াডে থাকা একমাত্র স্পিনার আবরার আহমেদকেও প্রথম টেস্টের জন্য বাদ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১৯৯৫ সালে প্রথমবার শুধুমাত্র পেসারদের নিয়ে টেস্ট খেলেছিল পাকিস্তান। এরপর ২০১৯ সালেও তারা একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ওই সময়ও রাওয়ালপিন্ডিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেস্ট ম্যাচটি। আজহার আলির নেতৃত্বাধীন পাক শিবির তখন পুরো পেস আক্রমণ মাঠে নামিয়েছিল। একাদশের বাইরে রাখা হয় লেগস্পিনার ইয়াসির শাহকে। তখন অবশ্য মারাত্মক ফর্মহীনতায় ভুগছিলেন এই লেগি। তবে এবার তেমন কিছু ঘটেনি, নিজ থেকেই পেসারদের নিয়ে টেস্ট খেলতে চায় শান মাসুদের দল।
পাকিস্তানের টেস্ট কোচ জেসন গিলেস্পি ব্যাটিং অলরাউন্ডার সালমান আলি আগাকে অফ-স্পিনার হিসেবে খেলানোর পরিকল্পনা আছে বলে আগেই জানিয়েছেন। সম্ভবত সেটাই দেখা যাবে রাওয়ালপিন্ডিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের আগে পাক স্কোয়াড থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে দুজনকে। বাদ পড়া আবরার আর কামরান গুলামকে রাখা হয়েছে পাকিস্তান শাহিনসের সঙ্গে, যারা বাংলাদেশ ‘এ’ দলের সঙ্গে টেস্ট সিরিজ খেলছে। দুই দলের প্রথম চারদিনের টেস্টটি ড্র হয়েছে, ২০ আগস্ট ইসলামাবাদে তারা মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় ম্যাচে।
এক বিবৃতিতে পিসিবি বলছে, রিস্ট-স্পিনার আবরার আহমেদকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে পুরো বোলিং আক্রমণ পেস বিভাগ দিয়ে চালানোর জন্য। তবে বেঞ্চে বসিয়ে রাখার চেয়ে নির্বাচকরা তাকে ম্যাচ প্র্যাকটিসের মধ্যে রাখতে চেয়েছেন। সে কারণেই তাকে শাহিনসের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে পাঠানো হচ্ছে, এরপর জাতীয় দলের দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে ফেরানো হতে পারে আবরারকে। ৩০ আগস্ট থেকে সেই টেস্ট চলবে করাচিতে।
পাকিস্তানের পেস বিভাগে বাংলাদেশের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের জন্য আছেন শাহিন শাহ আফ্রিদি, নাসিম শাহ, মির হামজা, মোহাম্মদ আলী, আমের জামাল ও খুররম শেহজাদ। প্রথম টেস্টে তাদের অন্তত চারজনের থাকা নিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত তারা কয়জন পেসারকে খেলায় সেটি জানা যাবে ২১ আগস্ট।