৭৩ শতাংশ চালক দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যায় ভুগছেন

প্রকাশিত: ৫:০৫ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলামঃ 

৭৩ শতাংশ চালকের দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা পাওয়া গেছে, যাদের চশমা ব্যবহার প্রয়োজন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন।ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের আয়োজনে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২৩’ এবং ‘ওয়ার্ল্ড ডে অব রিমেম্বারেন্স ফর রোড ট্রাফিক ভিক্টিমস-২০২৩’ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্পেইনে এই তথ্য উঠে এসেছে দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি।সোমবার (৬ মে) ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন জানায়, ৮২৪ জন চালকের মধ্যে মোট ৫৪১ জন চালক চক্ষু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রায় ৬৬ শতাংশ চালক চোখের বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। ৫৪১ জন চালকের মধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশ চালকের দৃষ্টিশক্তিজনিত সমস্যা পাওয়া গেছে, যাদের চশমা ব্যবহার প্রয়োজন। এছাড়া ৪ শতাংশ ছানি সমস্যা এবং ২৩ শতাংশ অন্যান্য চোখের সমস্যা যেমন- শুষ্ক চোখ, অ্যালার্জির সমস্যা ইত্যাদি পাওয়া যায়। লক্ষ্যণীয় যে, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত ২৬ শতাংশ এবং ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত ২৩ শতাংশ চালকের চোখের সমস্যা পাওয়া গেছে।

আরও জানানো হয়, ৮২৪ জন চালকের মধ্যে ৪০০ জন চালকের রক্তে শর্করা সীমার উপরে যা শতকরা ৪৯ শতাংশ, ২৫৮ জন চালক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন যা শতকরা ৩১ শতাংশ এবং ১৩৭ জন চালক উচ্চ রক্তে শর্করা এবং উচ্চ রক্তচাপ উভয়ই সমস্যায় ভুগছেন, যা শতকরা ১৭শতাংশ। এছাড়াও ৬০ শতাংশের বেশি চালক গাড়ি চালানোর জন্য শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ নয়।

স্বাস্থ্য পরীক্ষা ক্যাম্পেইনে সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষায় রক্তচাপের মাত্রা, রক্তে শর্করার মাত্রা, উচ্চতা অনুযায়ী ওজন এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত ছিল। একইভাবে, চোখের পরীক্ষায় দৃষ্টিশক্তির কাছাকাছি এবং দূরবর্তী সীমা, চালকদের ছানি পরীক্ষা এবং সেই অনুযায়ী পরামর্শ অন্তর্ভুক্ত ছিল।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এবং ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের যৌথ উদৌগে এই স্বাস্থ্য ও চক্ষু পরীক্ষা কার্যক্রমটি পরিচালিত হয় গত বছরের ১১ অক্টোবর থেকে ২৩ অক্টোবরে পর্যন্ত। রাজধানীর নিকুঞ্জ এবং উত্তরা বিআরটিএ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গাবতলী বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাস টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, তেজগাঁও ট্রাক টার্মিনাল এবং কুমিল্লা জিলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালিত হয়।